বৃক্ষদের রিটায়ারমেন্ট নেই কোনো। নয়টা-পাঁচটার ডিউটি শেষে তাদের বাড়ি ফেরার তাড়া নেই। স্থানুর মতো নিজেদের কাজটা করে যেতে হয় অহর্নিশ। ৫৭ বছর হলেই তাদের জন্য কেউ ফেয়ারওয়েল নিয়ে অপেক্ষা করে না। কেউ তাদের এসে বলে না, স্যার, সারাজীবন অনেক কষ্ট করলেন, এবার একটু বিশ্রাম নিন।
বৃক্ষদের অ্যাকাউন্টে পেনশনের টাকা জমা হয় না। যে আলো হাওয়ায় তাদের বাস, সেই সঞ্চয়ই তারা সারা জীবন ভাঙিয়ে খায়। অশীতীপর হয়েও সেই অ্যাকাউন্টে কখনো টান পড়ে না। বৃক্ষেরা জানে, সৃষ্টির শেষ পর্যন্ত কাজ করে যেতে হলেও তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ফুরোবে না।
নশ্বর মানুষ চেয়েছিল বৃক্ষের মতো হতে। জানতেই পারেনি, কখন তারা মানুষ হয়ে গেছে!
1 comment:
nice post. My Site
Post a Comment