লোকটা অনেকক্ষণ থেকে কী যেন খুঁজছে।
জায়গাটায় বেশ একটা সুনসান নীরবতা, লোকজনের বেমক্কা হল্লার উটকো আওয়াজ এখানে চট করে কানে লাগেনা। কেমন যেন থম মেরে আসা নীরবতায় চারিদিক আচ্ছন্ন হয়ে আছে। হিজল গাছটা বুড়িয়ে গিয়েছে, তাকে এখন চেনা দায়, মাছারাঙ্গাটিও আর এখানে অলস ঝিমোয়না। কোন জ্বিন-ভূত আসর করেছে কীনা তাই বা কে বলতে পারে? খানিকটা তফাতে একটা খোলামতন জায়গা, সেখানে বেলা গড়ালে ছেলেপেলের দলের মচ্ছব বসে। এদিকে নিচু হয়ে দাঁড়ালে পানিতে ছায়া দেখা যায় বটে, কিন্তু সেটা বড়ই আবছা। পানিটা টলটলে নয় মোটেও, কিনার ঘেঁষে নেমে পড়লে গোড়ালি অবধি পা ভেজে কীনা সন্দেহ। তবে পাড় ঘেঁষে সন্তর্পণে হেঁটে গেলেও দুচারটা বনবিছুটির দঙ্গল না মাড়িয়ে পারা যায়না। তার মধ্যে আবার নাম না জানা পিঙ্গল ফুলের ঝোপ। এখন ভরা মৌসুম, কদিন থেকেই বৃষ্টিবাদলার ধুম পড়েছে। পাড়টা বেশ কাদাটে হয়ে আছে, ঠাহর করে না চললে একেবারে ধরাশায়ী হওয়ার আশঙ্কা থাকে । লোকটা অবশ্য এসবের থোড়াই কেয়ার করে। কিন্তু তার বারবার মনে হতে লাগল, হিসেবে কোথাও বিলকুল গরমিল হয়ে গেছে, কিছু একটা কিছুতেই মিলছেনা। সবকিছু ঠিকঠাক আছে, আবার কোন কিছুই যেন ঠিকঠাক নেই। লোকটা খানিক নি পানির দিকে নির্নিমেষ তাকিয়ে থাকে, দলা পাকিয়ে ওঠা বিভ্রান্তিগুলোকে ঠিকঠাক করার চেষ্টা করে। তারপর একসময় হাল ছেড়ে দেয়, কিছু একটা খুঁজতে থাকা লোকটা ফের হাঁটতে শুরু করে। পেছনে পড়ে থাকা কিছু না চুকানো হিসেব -নিকেশ।
Wednesday, September 8, 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
ঢাকার প্রেম
‘আমরা তিনজন একসঙ্গে তার প্রেমে পড়েছিলাম : আমি , অসিত আর হিতাংশু ; ঢাকায় পুরানা পল্টনে , উনিশ-শো সাতাশে। সেই ঢাকা , সেই পুরানা পল্টন , সেই ...
-
‘আমরা তিনজন একসঙ্গে তার প্রেমে পড়েছিলাম : আমি , অসিত আর হিতাংশু ; ঢাকায় পুরানা পল্টনে , উনিশ-শো সাতাশে। সেই ঢাকা , সেই পুরানা পল্টন , সেই ...
-
খুব সম্ভবত বাঙালি দর্শকের ফেলুদা নিয়ে সারাজীবনের একটা অতৃপ্তি ছিল, পারফেক্ট ফেলুদা সেভাবে পাওয়া হয়নি কখনো। সেই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় থেকে স...
-
সব কবিদের গদ্য সুন্দর হয় না। কেউ কেউ আছেন যাদের দুই হাতে একসঙ্গে বাজে কবিতা আর গদ্যের যুগলবন্দি। শঙ্খ ঘোষের গদ্যই সত্যিকার অর্থে পড়েছিলাম আ...
No comments:
Post a Comment