Thursday, February 5, 2015

ইতিকথার পরের কথা...

মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে করে, শশী ডাক্তার এখন কেমন আছে? ওই যে গাওদিয়ার হাসপাতালটা, ওখানে কি এখনও সে শশব্যস্ত হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এক মাথা উঁচু ঢিবিটার ওপর থেকে সে এখনও সূর্য দেখে ? তালবনের শনশনানি শুনে সে এখনও কেঁপে কেঁপে ওঠে ? এখনও সে কি অপেক্ষা করে, কোনো কুহকিনী এসে হাত ভাঙার নাম করে তার সঙ্গে কথা বলবে ?

সেনদিদির ছেলেটা এখন কেমন আছে ? নিশ্চয়ই এতোদিনে সে বেশ বড়সড় হয়ে উঠেছে? মায়ের রূপের কতখানি সে পেয়েছে? কাশীতে গিয়ে গোপালের খুব বেশিদিন বেঁচে থাকার কথা নয়। গঙ্গা নদীর স্রোতে হয়তো তার ছাইভস্মও ভেসে গেছে। শশী কি সেই খবরটা জানে ? সেনদিদির ছেলেও কি জানে, হাজার মাইল দূরে একজন তার জন্য কতটা অপত্যস্নেহ নিয়ে বেঁচে আছে ?

কুসুম, সেই বা কেমন আছে ? আগের সেই বাঁকা হাসির চকিত চাহনি কি খেলা করে তার মুখে ? বাজিতপুরে নিশ্চয়ই ঘরকন্না করছে, এখনও গাওদিয়ার সেই দিনগুলোর কথা ছলকে ওঠে না স্মৃতিতে? যার জন্য একদিন নিজের সবটুকুই দিতে পারত, তাকে অমন করে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একটুও কি আক্ষেপ হয় না ? আচ্ছা, বাজিতপুরে কি তালবন আছে? সন্ধ্যার অস্তরাগে কুসুম কি ওখানে গিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকে ?

কুমুদ আর মতিই বা কেমন আছে ? এখনও কি দুজন জলে ভাসা পদ্মের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে ? কুমুদের যাত্রা দেখে কি মতির শরীরে আগের মতো পুলক খেলে যায় ? নাকি বেলা শেষে দুজন এখন থিতু হয়েছে, জীবনের বিপুল বিস্তারে দুজন কি সব উদ্দামতাকে সমর্পণ করেছে ? কুমুদ কি এখনও মতিকে দিয়ে পা টেপায় ? আর মতি, কুমুদ কি তার খোলনলচে বদলে দিতে পেরেছে ?

মাঝে মাঝে কিছু প্রশ্নের খুঁজতে বড্ড ইচ্ছা করে।



ঢাকার প্রেম

  ‘আমরা তিনজন একসঙ্গে তার প্রেমে পড়েছিলাম : আমি , অসিত আর হিতাংশু ; ঢাকায় পুরানা পল্টনে , উনিশ-শো সাতাশে। সেই ঢাকা , সেই পুরানা পল্টন , সেই ...