Wednesday, July 24, 2013

মাঝরাতের আগে...

Like sunlight, sunset, we appear, we disappear. We are so important to some, but we are just passing through

ইংরেজিতে বিফোর মিডনাইট, বাংলায় মাঝরাতের আগে। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের পর এবার মাঝরাত। একটা জীবনকে যেন বেঁধে দেওয়া বন্ধনহীন গ্রন্থিতে। যেন পুরো জীবনটাকেই তুলে আনা সেলুলয়েডের আলাদা তিনটি ফ্রেমে। আর বিফোর মিডনাইট যেন আগের দুটোর চেয়েও অনেক পরিণত, অনেক বেশি জীবনঘনিষ্ঠ।


সেলিন (জুডি ডেলপি) আর জেসে (ইথান হক) এই সিনেমায় মধ্যবয়স্ক দুইজন মানুষ। সেই ফ্রান্সে যখন শেষ দেখা হয়েছিল, নয় বছর পর তাদের যুগলবন্দি আবার দেখলাম। এই কয় বছরে বদলে গেছে অনেককিছু, জেসে এখন ঔপন্যাসিক হিসবে বেশ নামডাক কামিয়েছে। আগের সম্পর্ক যুকিয়ে দিয়ে এখন ঘর বেঁধেছে সেলিনের সঙ্গে।  কাগজে কলমে বিয়ে হয়নি তাদের। একসাথে থাকছে বটে। ফুটফুটে দুটো জমজ মেয়ে আছে তাদের।


সিনেমার কাহিনি শুরু গ্রিসে ছুটি কাটানোর শেষ দিনটিতে। আগের স্ত্রীর সন্তান হাঙ্ককে বিমানে তুলে দেওয়ার দৃশ্যতেই চোখ আটকে যাবে আপনার। সেই থেকে শুরু, এরপরের এক ঘণ্টা ৪৮ মিনিট যেন আমাদের সবার জীবনের একটুকরো ছবি।
জীবনটা আসলে কী? এই এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীতে আসলে কি খুঁজছে সবাই ? ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটিতে গিয়ে আসলে কি বিসর্জন দিতে হচ্ছে মানুষকে? প্রিয়জনকে বিদায় জানানোর বেদনা আসলে কতটুকু? এবং সবার ওপরে মানুষ শেষ পর্যন্ত কি একরকম আপোসেই মেনে নেয় সবকিছু? যে জীবনটা সে কাটাতে চায় সেটা আসলে কাটাতে পারে কয়জন?

আমাদের সবার মনেই কখনো না কখনো এই প্রশ্নগুলো এসেছে। জেসি আর সেলিনের কথোপকথনে চকিতে এগুলো হানা দিয়ে গেছে বেশ কয়েকবার। এবং অবশ্যই একেবারে আটপৌরে ভঙ্গিতে। আমরা যেমনটা বলি, কথার পিঠে কথার সাথে যেমন জড়িয়ে থাকে গভীর জীবনদর্শন, অনেকটা সেরকম। এবং মানুষ যে উত্তরগুলোর সুলুকসন্ধান করে ফিরবে আরও অনেকদিন বোঝা গেছে সেটাও।

শেষদিকে বেশ কয়েকবার জেসকে দাঁড়াতে হয়েছে সেলিনের কাঠগড়ায়? কি চায় জেস? সে কি ঔপন্যাসিক হিসেবে নিজের কাটতি চায় , ছেলের সাথে থাকতে চায়? নাকি সেলিনের কথা মেনে নিয়ে সে ইউরোপেই থেকে যাবে? প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে আপনাকে অবশ্য ছবিটা দেখতে হবে।

নিজের অনুভূতির কথা বলি। আমি ইথান হক আর জুডি ডেলপির ভক্ত। তাদের রসায়ন আমার কাছে খুবই সাবলীল লাগে। এমনিতেই অবশ্য ছবিটার চিত্রনাট্য লেখার সময় পরিচালক রিচার্ড লিঙ্কলেটারের সাথে এই দুজনও ছিলেন। সংলাপ যে ছবির আসল প্রাণ হতে পারে, এটা দেখার জন্য বিফোর ট্রিলজির চেয়ে ভালো উদাহরণ খুব কমই আছে। এই পড়তি বয়সে এসে দুইজনেই আগের চেয়েও যেন অনেক বেশি প্রাণবন্ত,অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত। অনেকটা পুরনো মদের মতো।
 
তবে সংলাপনির্ভর ছবির একটা দুর্বল দিক আছে। একটু একঘেয়েমি পেয়ে বসতে পারে দর্শককে। তবে আগের দুই পর্ব যারা দেখেছেন, তারা নিশ্চয় জানেন এই ছবিতে অন্তত সেরকম কিছু থাকবে না।  তাদের ভয় পাওয়ার কারণ নেই, এটা বলেই দেওয়া যায়!


সব মিলিয়ে বিফোর ট্রিলজি আমার কাছে একটা স্পেশাল জায়গা পেয়ে গেল। পরের পর্ব যখন হবে, তখন সেলিন-জেসে আরও বুড়িয়ে যাবে। বুড়িয়ে যাব আমিও। কিন্তু যদি আসে, সেটা মিস করব না এটা হলফ করে বলে দিতে পারি। 

ঢাকার প্রেম

  ‘আমরা তিনজন একসঙ্গে তার প্রেমে পড়েছিলাম : আমি , অসিত আর হিতাংশু ; ঢাকায় পুরানা পল্টনে , উনিশ-শো সাতাশে। সেই ঢাকা , সেই পুরানা পল্টন , সেই ...