Tuesday, October 19, 2010

ওয়েন রুনি-নামা ও একজন ব্রায়ান ক্লাফ


১.

কদিন ধরেই ফুটবলপাড়া সরগরম, সত্যিই কি ওয়েন রুনি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে চলে যাচ্ছে? পক্ষে বিপক্ষে নানান সমীকরণ, তবে বুড়ো ফার্গির একরোখা মনোভাবকে মাথায় রাখলে ব্যাপারটা আমলে না নিয়ে পারা যায়না। তার ওপর স্টাম, বেকহাম, তেভেজ ,নিস্টলরয় বা হালের রোনালদোরদের কথাই বা ভোলা যায় কী করে? ফার্গির সাথে তাদের বাহাস কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওল্ড ট্রাফোর্ড ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমেই মিটেছে। মজার ব্যাপার হল, এইসব দলত্যাগীদের সিংহভাগেরই ঠিকানা হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। রুনির বারেও তেমনটাই ঘটার সম্ভাবনা আপাতত সবচেয়ে বেশি মনে হচ্ছে। গত বেশ ক ম্যাচেই গোড়ালির ইনজুরির ধুয়া তুলে তাকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অথচ ইংল্যান্ডের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রুনি এই ইনজুরির কথা বেমালুম চেপে গেছেন। তাই দুয়ে দুয়ে যারা চার মিলিয়ে ফেলছিলেন, তাদের ভাবনার পালে হাওয়া দিতে এবার খোদ ফার্গিই স্বীকার করলেন, রুনি সত্যিই ক্লাব ছাড়তে চাইছেন। তবে খবর অনুযায়ী [url=http://soccernet.espn.go.com/news/story?id=834208&sec=england&cc=4716]তারকা খেলোয়াড় দলে না ভেড়ানোর[/url] কারণেই রুনি দল ছাড়তে পাগলপারা, যদিও অবস্থাদৃষ্টে সে যুক্তি ধোপে টেকেনা বলেই মনে হছে। ফার্গি বরাবরই দাপুটে মেজাজের, তার সাথে একঘাটে জল খাওয়ার হিম্মত তিনি মোটেই বরদাশত করেননা। রুনির সাম্প্রতিক গোলখরা মাথায় রেখেও তাই বলা যায়, এই আকস্মিক প্রস্থান আদপে গুরু শিষ্যের সম্পর্কের চরম অবনতির দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করে। অথচ, গিগস, স্কোলসের আসন্ন বিদায়ের পর রুনিকেই সবাই ম্যানইউর পরবর্তই আইকন হিসেবে ঠাউরেছিলেন। দেখা যাক, জল কদ্দুর গড়ায়। তবে রুনির বিদায়ে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের বেহাল অবস্থা আরো প্রকট হবে, সাধারণ্যে আপাতত এটাই ধারণা।

২. রুনি ডামাডোলে আরেকটি খবর বিলকুল চাপা পড়ে গেছে, হ্যাঁ, লিভারপুলের হতশ্রী দশার কথাই বলছি। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সফলতম ক্লাবটি এখন রেলিগেশনের খাঁড়ায় ঝুলছে। পয়েন্ট তালিকায় নিচ থেকে দুনম্বরে এখন তারা খাবি খাচ্ছে, স্মরণকালে সবচেয়ে জঘন্যতম শুরু তাদের, একথা বোধহয় না বললেও চলে। ফর্মের সাথে যুঝতে থাকা টরেস, জেরার্ডদের মনে হচ্ছে আসল রুপের ছায়া মাত্র, অফেন্স-ডিফেন্স সবখানেই তাদের বেহাল দশা। নয়া কোচ রয় হজসন নবিশ নন, পোড় খাওয়াই বলতে হবে, দলবদলে বাজারসদাই খুব একটা খারাপ করেননি। কিন্তু নতুনরাও একেবারেই হতাশ করছে, আর পুরনো পাপীদের অবস্থাও তথৈবচ। । এরকম আর কিছুদিন চললেই হজসনকে পাততাড়ি গোটাতে হবে ,কিন্তু সেটাই কি সবকিছু বদলে দেবে? মনে হয়না। তারওপর হালে মালিকানা নিয়ে একপশলা নাটকের পর দলটা আসলেই টালমাটাল হয়ে পড়েছে। জাবি আলন্সর বিদায়ের পর থেকে লিভারপুলের পারফরম্যান্সের নিম্নমুখী গ্রাফ এই মৌসুমে মাসকেরানোর দলত্যাগের পর আরো প্রকট হয়েছে। এখন লিভারপুলের খেলা দেখলে চোখ কড়কে নিতে হয়, এই কি সেই লিভারপুল, ইস্তাম্বুলের মাঠে যারা তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও জন্ম দিয়েছিল ফুটবলের অবিস্মরণীয় কামব্যাকগুলোর একটি ? ছন্নছাড়া এই দলটির একটা টনিক এখন ভীষণ প্রয়োজন, কিন্তু সেই টনিক কী হতে পারে... লিভারপুল ভক্তদের জন্য এটি একটি কোটি টাকার প্রশ্ন।


৩.

লোকটাকে বলা হয় কখনো ইংল্যান্ড জাতীয় দলের কোচিং না করানোদের মাঝে সবচেয়ে বিখ্যাতজন।পাঁড় ফুটবলানুরাগী না হলে নামটা হয়তো আপনার কাছে খানিকটা আনকোরাই ঠেকবে, তবে এটা হলফ করেই বলা যায়, [url=http://en.wikipedia.org/wiki/Brian_Clough]ব্রায়ান ক্লাফের[/url] মত ক্যারিশম্যাটিক কোচ ফুটবল ইতিহাসে কমই এসেছেন। দ্বিতীয় বিভাগের নিচু সারির দল ডার্বি কাউন্টিকে যিনি প্রথম বিভাগে তোলেন এবং সেখানেই ক্ষান্ত না দিয়ে ৮৮ বছরে প্রথমবারের মত শিরোপা এনে দেন, আবার ফিনিক্স পাখির পুনর্জন্মের মত আরেকটি অখ্যাত ক্লাব নটিংহাম ফরেস্টকে টানা দুবার ইউরোপিয়ান কাপ জেতান ,তাকে ক্যারিশমাটিক ছাড়া আর কীই বা বলা চলে। আর বলাই বাহুল্য, এই রত্নখচিত ক্যারিয়ারে প্রায়ই বিতর্কের আঁচ লেগেছে, মিডিয়ার আঁতশকাচের নিচেও তাকে হরবখত থাকতে হয়েছে।

ব্রায়ান ক্লাফ যেখানেই গিয়েছেন, বিতর্ক বরাবরই তার পিছু নিয়েছে। তবে বীণাপাণি দুহাত ভরে এই একরোখা দুর্বিনীত স্বভাবের ডাকসাইটে কোচটিকে বর দিয়েছেন ,সাফল্যের জন্য মাথা খুঁড়ে মরতে হয়নি তাকে কখনোই। [url=http://www.imdb.com/title/tt1226271/]দ্য ড্যামড ইউনাইটেড[/url] ছবিটি এই বর্ণাঢ্য লোকটিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত। মোটাদাগে বললে ছবিটি ফুটবলসংশ্লিষ্ট বলা যায়, কিন্তু ফুটবলকে ছাপিয়ে ক্লাফ সাহেবের ক্যারিশমা বারবারই ছবিতে মূর্ত হয়ে ওঠেছে।সিনেমায় অবশ্য ক্লাফের কীর্তিগাঁথা দেখার আশা করে থাকলে খানিকটা হতাশ হতে হবে, ছবির মূল কাহিনি তার লিডস ইউনাইটেডের কোচ থাকার ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ কয়েকটা দিন। পিটার টেলরের সাথে তার যুগলবন্দি ছিল ডার্বি কাউন্টির জিয়নকাঠি, কিন্তু উচ্চাকাংখী ক্লাফ ডার্বির মায়া কাটিয়ে লিডস ইউনাইটেডের হাল ধরেন। তবে আরেক দুঁদে কোচ ডন দেভির ছায়ায় মাথা খুঁড়ে মরতে থাকা লিডসে তার সময়টা সুখের কাটেনি মোটেও, নানান সংকটে তিনি জেরবার হয়ে পড়েন।তারপর... বাকিটা না হয় নাই বলি।

ব্রায়ান ক্লাফ আদপেই ছিলেন একজন খ্যাপাটে মানুষ, সহকারী পিটার টেইলর ছিলেন তার সর্বান্তকরনেই তার পরিপূরক, আর মেজাজী ক্লাফের রাশ টেনে ধরার কাজটা প্রায়ই টেলরকেই করতে হত। ক্লাফের মতিভ্রমে মানিকজোড়ে সাময়িক ছাড়াছাড়ি হলেও অচিরেই তাদের ফের মিলন ঘটে, তারপর বাকিটুকু স্রেফ ইতিহাস। জলাফের চরিত্রে মার্টিন শিন ছিলেন অনবদ্য, ফুটবল কোচের ভূমিকায় বেশ ভালি মানিয়েছিলেন তিনি। বাকিরাও যা যার ভূমিকায় উতরে গেছেন। মোদ্দা কথা, ফুটবলভক্তরা ছবিটি দেখলে পস্তাবেননা, এ গ্যারান্টি দেওয়াই যায়।

এতক্ষণ বেশ ইতিহাস কপচালাম ,মনে মনে হয়তো ভাবছেন, আরে ক্লাফের সাথে তো আরেক সাফল্যপ্রসূ কোচ হোসে মরিনহোর ভালই মিল। আমি অবশ্য মরিনহোকে আধুনিক ক্লাফ বলতে নারাজ, সাফল্যের বিচারে কার পাল্লা ভারি সেটাও নির্ণয় করা দুরুহ বটে। তবে মরিনহোর সাথে ক্লাফের যে কিছু মিল আছে ,সেটা অস্বীকার করার জো নেই। আর আজকের খাবি খেতে থাকা লিভারপুলের যে আরেকজন ক্লাফ দরকার , খুব খুব করে দরকার, সে বিষয়েও কোন দ্বিধার অবকাশ নেই। কিন্তু সেই কান্ডারী কে হবেন, এ সওয়ালের জবাব আপাতত আমাদের কাছে নেই।

Friday, October 15, 2010

প্রলাপসমগ্র

কেন লিখি? এ সওয়াল পুছতে কোন ঝঞ্ঝাট নেই বটে, কিন্তু উত্তর দেওয়ার হ্যাপা বিস্তর। লেখালেখি কালেভদ্রে যা করি সেগুলো ধর্তব্যের মাঝে পড়ে বলে মনে হয়না, কিন্তু একথা কুন্ঠাহীন চিত্তে স্বীকার করি, লেখার একটা তাড়না প্রায়ই প্রবলভাবে অনুভব করি। হয়তো ঠিক করলাম, কোন একটা বিষয় নিয়ে লিখব, মনে মনে একটা রাফ আউটলাইনও খাড়া করলাম, কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে কিবোর্ডে আঙ্গুল স্পর্শ করা মাত্রই গতি অস্বাভাবিক রকমের শ্লথ হয়ে পড়ে, একসময় রণে ভঙ্গে দিয়ে উঠে পড়ি। এভাবে কত কিছুইতো অকালেই ঝরে পড়েছে, ড্রাফট হিসেবে খোলসবন্দি হয়ে পড়ছে, বরাত খুব বেশি ভাল না হলে তাদের কারও সহসা আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনাও নেই। লিখতে আমার রাজ্যের যত আলিস্যি, তারপরও উড়ুক্কু লেখাজোখার ভূত মাথা থেকে চট করে নামতেই চায়না। এদিকে সারাদিন খুচরো খাচরা পড়া ঠিকই হয়ে যায়। এক সচলেই আজকাল বেশ খানিকটা সময় বুঁদ হয়ে থাকতে হয়, তায় পত্রপত্রিকা ইত্যাদি মিলিয়ে বেশ খানিকটা সময় পড়ার পেছনেও ব্যয় হয়ে যায়। তারপরও দেখা গেল , কিছুটা সময় স্রেফ লেখার জন্যই বরাদ্দ করে রাখা হয়েছে। কিন্তু শেষমেশ সেটা আর হয়ে ওঠেনা। আর তাই হপ্তায় হপ্তায় বিশালবপু রিপোর্টের কথা বাদ দিলে ইদানিং লেখার হার একেবারেই শুন্যের কোটায়।

তারপরও কিছুমিছু যে একেবারেই লেখা হয়না তা নয়। মাঝে মাঝে বেমক্কা একটা জোয়ার আসে, সেই জোয়ারের ঠেলায় তখন আপনিই লেখা হয়। তখন লেখার জন্য খোরাকের অভাব হয়না, আর লেখাও এগোয় তরতরিয়ে, একেবারে দাপুটে বেগে উজিয়ে চলে। কিন্তু এই ধাক্কাটা আসে উটকো, কোন জানান না দিয়েই, আর সেটার জন্য হাপিত্যেশই করে যেতে হয়। তারপর আবার যেইকে সেই। আবার ঝিমিয়ে পড়া এবং মাথা খুঁড়ে মরা ছাড়া কিছু করার থাকেনা।

এখন কেউ যদি আচমকা বলে বসেন, উপসর্গ তো রাইটার্স ব্লকের সাথে বিলক্ষণ মিলে যাচ্ছে, তবে আমাকে হারেরে করে তেড়ে আসতেই অবে। এইবেলা বলে রাখা ভাল, ব্যাধি যতই সংক্রামক হোক, এসব সম্ভ্রান্ত ব্যাধি আমাদের মত উন্মার্গিকদের কস্মিনকালে হবে বলে মালুম হয়না। হবেই বা কেন বলুন, আমি আজকে থেকে একবারের তরে কিবোর্ড না চাপলেও এমন কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হবেনা, যে দুচারজন বন্ধুবান্ধব অনুরোধের ঢেঁকি গিলতে না পেরে পড়ে ফেলে, আর পড়ার পর বাধ্য হয়েই পিঠ চাপড়ে দেওয়ার ভান করে, তারা হয়তো একদুবার তাগাদা দেবে, কিন্তু স্রেফ এ পর্যন্তই। কদিন বাদে কিবোর্ডে ধুলোর স্তর পুরুও হতে থাকবে, এছাড়া আর কোন ইতরবিশেষ হবে বলে মনে হয়না। হাজার হোক, আজতক লেখালেখি নির্ভেজাল আনন্দের রসদ ছাড়া বৈ আর কিছু তো নয়। পারিবারিক হ্যাপা, শারীরিক-মানসিক অবসাদ ইত্যাদিকে যদি লেখালেখির অন্তরায় ধরে নিই, তবে তা হবে নিছক ছেনালিপনা মাত্র।

এই যেমন ধরুন, এই মুহুর্তে করোটিতে একটা গল্পের প্লট ঘুরপাক খাচ্ছে। কাহিনির একটা সরলরৈখিক রুপও খাড়া করে ফেলেছি এর মাঝে, শুরুটাও বোধ হয় মন্দ হয়নি, কিন্তু এরপরই গিয়ে ঠোক্কর খেতে হল, হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেললাম। একবার মনে হল, এভাবে লিখি। খানিক লিখেই আবার সেটা মুছে ফেলি। এভাবে কিবোর্ডের ওপর দিয়ে রীতিমত ঝড় বয়ে গেছে, কিন্তু আদপে লাভের খাতায় লবডঙ্কা, যে তিমিরে ছিলাম এখনো সে তিমিরেই আছি। শেষমেশ যেটা হল, এখন গল্পটার ওপরই বেশ একটা অনীহা জন্মে গেছে, যে কাঠামো খাড়া করেছিলাম সেটাকেও জোলো ঠেকছে। কাহিনির চরিত্রগুলোও বেখাপ্পা হয়ে উঠছে, তাদের বাগ মানানো হয়ে পড়ছে নিতান্তই কঠিন। ফলে এই গল্পটাও বোধহয় আঁতুরঘরেই মারা যেতে বসেছে, যদিনা বিলকুল অবাক করা কিছু ঘটে না থাকে।

তবে এর মাঝে সৈয়দ হকের মার্জিনে মন্তব্য পড়ে হালে কিছুটা হলেও পানি পেলাম। সৈয়দ হক যেখানে কুন্ঠাহীন রায় দিয়ে গেছেন- কোটি কোটি গল্প লেখা হয়ে গেছে, সম্পূর্ণ নতুন গল্প নির্মাণ করা আর সম্ভব নয়, সব সম্ভাবনাই শোষিত নির্মমভাবে, তখন মনে হয়, এভাবে গল্পটিকে অকালেই গলা টিপে না মারলেই পারতাম। হাজার হোক, সব নতুন গল্পই যদি হয় নতুন বোতলে পুরাতন মদিরা, তখন সেখানে কোন গল্পের অকালপ্রয়াণ আমায় ব্যথাতুর করে বৈকি।


মাঝে মাঝেই ভাবি ,গল্পের সুলুক সন্ধান লেখকেরা করেন কীভাবে? কী উপায়ে এমন জম্পেশ সব কাহিনির প্রসব হয়? উত্তরটা অনেক সময় আমিই আপনমনে দিতাম , লেখকদের দেখার চোশ আর ভূয়োদর্শনই হয়তো মোক্ষম তফাত গড়ে দেয়। কিন্তু গল্পের শেষের অমন পিলে চমকানো মোচড়, সেটাই বা আসে কী করে? এইখানে বলতেই হবে, স্রেফ টুইস্ট খুঁজতে গিয়ে একসময় বিভ্রান্ত হতাম, মনে করতাম ,এই টুইস্টের ভেতরেই বুঝি গল্পকারের যাবতীয় কেরদানি, তবে সৈয়দ হকের বয়ানে সেই ভ্রান্তির অপনোদন খানিকটা হলেও হয়েছে। শুনুন তবে-

[i]গল্প খোঁজায় যাঁরা বিশ্বাস করেন তারা আসলে দৈবের ওপর নির্ভর করেন, এ কালে যখন অন্নবস্ত্রের জন্যেও দৈবের ওপর মানুষের বিশ্বাস নেই, তখন গল্পের জন্য তার ওপর নির্ভর করাটা নিতান্তই হাস্যকর। [/i]

একথার পর বোধহয় আর কিছু বলা চলেনা। তারপরও নাটকীয়তার প্রতি একটা পলকা মোহ হয়তো অজান্তেই গল্পকারের ভেতর কাজ করে, আর সেই ফাঁদে লেখক বেভুলে পা দিয়ে বসলেই হয় সাড়ে সর্বনাশ।সে যাকগে, এসব কথা ফেঁদে নিজের অক্ষমতা আর আড়াল করতে চাইনা। এখন কেবল অপেক্ষার পালা, আবার হয়তো একটা জোয়ার আসবে, তখনই এই রাহু থেকে ঘটবে আমার নির্বাণলাভ।

ঢাকার প্রেম

  ‘আমরা তিনজন একসঙ্গে তার প্রেমে পড়েছিলাম : আমি , অসিত আর হিতাংশু ; ঢাকায় পুরানা পল্টনে , উনিশ-শো সাতাশে। সেই ঢাকা , সেই পুরানা পল্টন , সেই ...